নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার রোধ ও পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে যে তিনটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে, তার মধ্যে লাল ও হলুদ জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (১৫ জুন) বিকালে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সেখানে বলা হয়, লাল ও হলুদ অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বয়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরগুলো এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী এসব দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। এর আওতায় ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মোট ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা আছে।
ঢাকা উত্তর সিটি: উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো: বসুন্ধরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি: দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে: যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।
এদিকে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩০৯৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯০ হাজার ৬১৯ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২০৯ জনে। সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটারে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৫ জুন) বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ লাখ ০৭ হাজার ৮০৪ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫৫ জনের।
বিশ্বে একক দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্র। সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৬২ হাজার ২২৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৮ জনের। যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্ত ও উভয় মৃত্যু উভয়- বিবেচনায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৮৯ জনের।